ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে যশোর জেলা প্রশাসন। রবিবার (১৯ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ২১ মে যশোরের শার্শা, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা এই তিন উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট নেওয়া হবে ইভিএমে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, ‘ভোটারদের নিরাপত্তা, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পুলিশ, বিজিবি, আনসার, র্যাব সদস্যরা ভোটারদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। যদি কেউ ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা অথবা সুষ্ঠু ভোট প্রদানে বাধা দেয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে।’
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, ‘প্রত্যেক ভোটার যেন নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন; তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে তা বরদাশত করা হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ তিন উপজেলায় কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সংঘটিত নির্বাচনি অপরাধের কারণে গত ১৭ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন অন্য দুই উপজেলার চেয়ে শার্শা উপজেলায় নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন থাকবে বেশি।
তিন উপজেলায় মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে এক হাজার ৭১৮ জন পুলিশ, ৬০ জন র্যাব সদস্য এবং ৬০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিন উপজেলার নির্বাচনি রিটার্নিং অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এম এম শাহীন, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিচুর রহমান প্রমুখ।