হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় নৈশপ্রহরী তজিম উদ্দিন হত্যা মামলার ২৬ বছর পর তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসেন, উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের আবদুল লতিফ ও একই গ্রামের শামসুল হক। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ ঘটনায় অপর আসামি আব্দুল কাফীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

হত্যাকাণ্ডের শিকার তজিম উদ্দিন উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার কারেন্টেহাট এলাকায় একটি হাস্কিং মিলের নৈশপ্রহরী ছিলেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তমিজ উদ্দিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই হাস্কিং মিলে কাজে যান তমিজ। সকালে বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী আরজিনা বেগম স্বামীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তিন দিন পর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের দামুয়া পুকুরে কচুরিপানার ভেতর থেকে তমিজের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন চিরিরবন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন স্ত্রী আরজিনা।

এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আফজাল পুলিশের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে উল্লেখ করেন, তজিমকে গলা কেটে হত্যা করেছেন। পরে লাশ কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর পাঁচ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এর মধ্যে মামলা চলাকালীন মারা যান চার্জশিটভুক্ত আসামি মোখলেছার রহমান। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন জনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দেন বিচারক।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।’