রাঙ্গার আসনে গণসংযোগ করতে গিয়ে বাধার মুখে এরশাদের ভাতিজা

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের ভাতিজা হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের জনসংযোগ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা, গাড়ি বহরে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার বাহিনী ও পুলিশকে দায়ী করেছেন এরশাদ ভ্রাতুষ্পুত্র। শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সাবেক এমপি জাতীয় যুবসংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আসিফের নেতৃত্বে বিকাল ৩টার দিকে দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল ও কয়েকটি গাড়ি নিয়ে রংপুর থেকে গঙ্গাচড়া যাওয়ার পথে গঙ্গাচড়া ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি বালুর ট্রাক রাস্তায় দাঁড় করিয়ে গতিরোধ করে। এ সময় আসিফ জানান তিনি জনসংযোগ করতে এসেছেন তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন?

ওই সময় গণ্ডগোল হতে পারে জানিয়ে পুলিশ তাকে গতিপথ পাল্টাতে বলে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। তখন ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল তাদের গাড়ি বহরে হামলা চালায় এবং বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

সেখানে আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে ইট নিক্ষেপকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয় এবং ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে অন্য পথ দিয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত গঙ্গাচড়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে গণসসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের দাবি, তার শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এ ঘটনার জন্য দায়ী জাতীয় পার্টির থেকে বহিষ্কৃত রংপুর-১ আসনের এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গার লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডা বাহিনী। ওসি দুলাল তাদের সহায়তা করেন।

এই বিষয়ে গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন দাবি করেন, গোলমালের আশঙ্কায় আমি তাদের বিকল্প পথে যাওয়ার অনুরোধ করেছি। গণসংযোগ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি।