অটোরিকশা চুরি করতেই রিফাতকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেফতার ৭

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় অটোরিকশাচালক মো. রিফাত হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং হত্যায় জড়িত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (০৮ নভেম্বর) সকালে শহরের হাজীপাড়ায় পিবিআই কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঠাকুরগাঁও পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মো. রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার জিয়াবাড়ী সদ্দারপাড়া গ্রামের মো. হালিম উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (১৬), একই উপজেলার ভুতমারী গ্রামের মৃত আশরাফ চৌধুরীর ছেলে কামরুল হাসান (২৪), আটোয়ারী উপজেলার ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত চৈতনের ছেলে এরাজ ওরফে এরাজ উদ্দিন (৬২), তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২), আলমগীর হোসেন (২৫), রুহিয়া থানার ঘনিমহেষপুর গ্রামের কাশি বর্মনের ছেলে অতুল বর্মন (৩২) ও আটোয়ারী উপজেলার দেলুয়াডার খৌর গ্রামের মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. নাছির উদ্দিন (৩৫)।

পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘গত ১৬ অক্টোবর রিফাত বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় না আসায় স্ত্রী আশামণি ফোন করলে রিফাত জানান, দুজন যাত্রী নিয়ে রুহিয়ার দিকে যাচ্ছেন। ওই দিন অনেক রাত হলেও বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বারবার কল দিয়ে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ১৭ অক্টোবর রুহিয়া থানার ঘুরনগাছ কুজিশহর গ্রামের রাস্তার পাশের বাঁশঝাড় থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রিফাতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনাটি ক্লু-লেস হওয়ায় নিজ উদ্যোগে ১৯ অক্টোবর মামলা তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই। পরে ছায়াতদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত রবিউল ও কামরুলকে ৬ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়। কামরুলের কাছ থেকে রিফাতের মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাকি পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামিরা। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মূলত অটোরিকশা চুরি করতেই রিফাত গলা কেটে হত্যা করেছেন আসামিরা। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তারা।’