এক গুদামে মিললো ৫ হাজার মেট্রিক টন চালের অবৈধ মজুত

দিনাজপুর সদর উপজেলার একটি চালকলের গুদামে অবৈধভাবে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুত রাখার দায়ে ওই চালকলের মালিককে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও চাল মজুত করায় আরেক ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি চাল মজুত ও বাজারে সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় খাদ্য পরিদর্শক জাহানারা বেগম, নাসিম বেগম ও রায়হান আলী উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের সদর উপজেলার পুলহাটে স্বীকৃতি অটো রাইস মিলে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও খাদ্য বিভাগ। এ সময় ওই গুদামে সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি চাল মজুত পান কর্মকর্তারা। এই অপরাধে মিলের মালিক মো. সাইফুল্লাহকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উপজেলার দাড়াইল এলাকায় ফারুক আহমেদের গুদামে অভিযান চালানো হয়। অতিরিক্ত চাল মজুত ও বাজারে সরবরাহ না করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় তাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ বলেন, ‘স্বীকৃতি অটো রাইস মিলের লাইসেন্স অনুযায়ী চাল মজুত থাকার কথা ৯৯৮ মেট্রিক টন। সেখানে মজুত পাওয়া গেছে পাঁচ হাজার টন। লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও ফারুক আহমেদের গুদামে ধান ও চাল মজুত করায় মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মজুতবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে।’ 

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস বলেন, ‘অবৈধ মজুতের মাধ্যমে যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। আজকের অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে সাত লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’