জেলে থেকে পরিকল্পনা, বের হয়ে ডাকাতি

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় নৈশপ্রহরীকে বেঁধে অটো রাইস মিলে ডাকাতির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার ছয় জন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। ১০ জনের ডাকাত দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার করিমুল্লাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম, উপশহর ৬ নম্বর ব্লকের শামি ওরফে পবন, কসবা এলাকার আব্দুস সোহাগ, শেখপুরা নিমনগর এলাকার বকুল হোসেন, চিরিরবন্দর উপজেলার ভাবকি গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ও হাকিমপুর উপজেলার মধ্য বাসুদেবপুর গ্রামের আলিম হোসেন।

পুলিশ সুপার জানান, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১০ জনের ডাকাত দল জড়িত। তাদের প্রত্যেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৯ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডের মাধ্যমে যারা যারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে তাদের গ্রেফতার এবং বাকি টাকা উদ্ধার সম্ভব।

তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুর রহিম। জেলে থাকা অবস্থায় আরেক ডাকাত আলিম হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আলিম হোসেনের বাড়ি হাকিমপুরে। তার কাছ থেকে আব্দুর রহিম ওই রাইস মিলের টাকার ব্যাপারে জানতে পারেন। এই ঘটনার পর তারা ডাকাতির বিষয়ে উৎসাহিত হয়। জেল থেকে বের হওয়ার পরে তারা ১০ জনের ডাকাত দল গঠন করে ওই মিলে হানা দেয়।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৩টায় হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার গণেশ প্রসাদ সাহার ইউনাইটেড রাইস মিলে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি মিলের স্বত্বাধিকারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে হাকিমপুর, দিনাজপুর, কোতয়ালী ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। অভিযানকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৬ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহিমের নামে বিভিন্ন থানায় ৫টি, শামিমের বিরুদ্ধে ১৪টি, আব্দুস সোহাগের বিরুদ্ধে ১০টি, আলিম হোসেনের বিরুদ্ধে একটি ও ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।’