৪০০ টাকার বিনিময়ে চারটি সোনার বার পাচার

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের সময় চার পিস সোনার বারসহ মোস্তাক হোসেন (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটক যুবক নিজেকে এর বাহক হিসেবে দাবি করেছেন। 

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ঘাসুরিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিজিবির ঘাসুরিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা। আটক মোস্তাক হোসেন ওই এলাকার দবিরুল ইসলামের ছেলে।

মোস্তাক হোসেন বলেন, বিরামপুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তি কাটলা বাজার এলাকায় আমার হাতে চারটি সোনার বার দিয়ে দেন। আমি এসব বার ভারতের এক ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দিই। এর বিনিময়ে আমাকে ১০০ করে মোট ৪০০ টাকা দেওয়া হয়। গত কয়েক মাসের মধ্যে আমি ১০ বার সোনার বার ভারতে পাঠিয়েছি। আমি শুধুমাত্র এর বাহক। টাকার লোভেই করেছি।

বিজিবির ঘাসুড়িয়া ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার গোপাল চন্দ্র বলেন, ঘাসুড়িয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদ পায় বিজিবি। সেই সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে তৎপর থাকে বিজিবি। এ সময় সীমান্তের দিকে যাওয়া মোস্তাককে সন্দেহ করে তার দেহ তল্লাশি করলে শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা চারটি বার উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে ঘটনায় তাকে আটক করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া সোনাসহ তাকে জয়পুরহাটে বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদরদফতরে নেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে সোনাগুলো আসছিল কোথায় যাচ্ছিল কাকে দেওয়া হচ্ছিল এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য বের করা হবে।

জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনও এটা নিয়ে কাজ করছি। পদ্ধতিগুলো শেষ হলে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার হিলি সীমান্ত দিয়ে মোটরসাইকেলে করে ভারতে সোনা পাচারের সময় সীমান্তের সাতকুড়ি রেলগেট এলাকা থেকে ১০ পিস বারসহ মেহেদি হাসান (৩৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এ নিয়ে দুই দিনের মাথায় সর্বমোট ১৪ পিস সোনার বারসহ দুই জনকে আটক করা হলো।