এক বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় আরেক বন্ধু গ্রেফতার

বন্ধুকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক মাস ২০ দিন পর মামলার প্রধান আসামি মিরাজ হোসেনকে (১৯) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সোমবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর কদমতলী এলাকার শ্যামপুর বড়ইতলা রেলস্টেশনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৩ ও র‌্যাব-১০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

র‌্যাব-১৩-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সালমান নুর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার মিরাজ হোসেন দিনাজপুর বোচাগঞ্জ উপজেলার লাইছুর রহমানের ছেলে। আর ভিকটিম সাকিব হাসান (১৮) একই এলাকার মোমিনুল ইসলামের ছেলে। তারা একে অপরের বন্ধু ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ১৭ মে বিকালে বন্ধু সাকিবকে ক্রিকেট খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান মিরাজ। দিন পেরিয়ে রাত হলেও সাকিব বাসায় না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে সাকিবের বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা। ১৯ মে সকালে মিরাজের শোবার ঘর থেকে সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সাকিবের বাবা বাদী হয়ে মিরাজকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেন মিরাজ। ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে র‌্যাব সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কদমতলী এলাকার শ্যামপুর বড়ইতলা রেলস্টেশনের সামনে থেকে মিরাজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বোচাগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে সকালে উপজেলার টেনা গ্রামের লাইসুর রহমানের বাড়ি থেকে সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই লাইসুর ইসলাম ও তার ছেলে মিরাজ পালিয়ে যায়। নিহত সাকিব একই উপজেলার নাফানগর গ্রামের মোমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি নাফানগর টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঘটনার রাত সাড়ে ৩টার দিকে লাইসুর রহমানের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে বাড়ির শোবার ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পা লোহার তার দিয়ে বাধা ছিল এবং একটি রক্তাক্ত শার্ট গলায় পেঁচানো ছিল।