লালমনিরহাটে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে গৃহবধূ হাসিনা বেগমকে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ দল। রবিবার (০৯ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট শহরের খুটামারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আশরাফুল ইসলাম (৫০) পেশায় ভ্যানচালক। ভুট্টাক্ষেত থেকে স্ত্রী হাসিনা বেগমের লাশ উদ্ধারের পর থেকে পলাতক ছিলেন আশরাফুল।
তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী, ডিবি পুলিশের ওসি সাদ আহম্মেদ ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাদল কুমার মণ্ডল।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল ইসলামকে লালমনিরহাটের ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার এসপি অফিসের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
আশরাফুল ইসলাম লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুরের দীঘলটারী গ্রামের বাসিন্দা। নিহত হাসিনা বেগম আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। গত বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাতের আঙুলের ছাপ থেকে রংপুরের সিআইডি পুলিশ নিশ্চিত করে, লাশটি আশরাফুলের স্ত্রী হাসিনা বেগমের। হাসিনা আদিতমারীর দীঘলটারী গ্রামের কাশেম আলীর মেয়ে।
ঘটনার পর থেকে হাসিনার স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী মেহেরুন নেছা উধাও হয়ে যান। গত শুক্রবার বিকালে মেহেরুন নেছাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার সতিন হাসিনার বিচ্ছিন্ন মাথা পুঁতে রাখার তথ্য দেন। সেই তথ্য অনুযায়ী আদিতমারীর দুর্গাপুরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার একটি তামাকক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় হাসিনার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়। হত্যার ঘটনায় ভুট্টাক্ষেতের মালিক শফিকুল ইসলাম অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় মেহেরুন ও আশরাফুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।