বন্ধু আব্দুল গোফরানের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের স্মৃতিচারণ

বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল গোফরান বুধবার (১৪ মে) সকালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মরহুম আব্দুল গোফরান রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত। তিনি মির্জা ফখরুলের শৈশবের বন্ধু।

শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে গভীরভাবে বিশ্বাসী আব্দুল গোফরান ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। একজন আদর্শ শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বলিষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে এলাকায় সর্বজন সমাদৃত ছিলেন। সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্যও এলাকার মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি। ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য দেশবাসী তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন। দোয়া করি, মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাত নসিব এবং শোকার্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।’

বুধবার রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কিছুদিন আগেও বন্ধু গোফরানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল বিএনপি মহাসচিবের। ব্যাংককে চিকিৎসাধীন মির্জা ফখরুল ফোনে শায়রুল কবিরকে বলেন, ‘আমার বন্ধু গোফরানের সঙ্গে খুব দুষ্টুমি করতাম। সে প্রায় রেগে গিয়ে রুস্তম আলী হেড স্যারকে নালিশ করতো হেড স্যার আমাদের ডেকে পাঠাতেন, আমাদের লাইন করে দাঁড় করাতেন। আমাদের শাস্তি জুটতো একটা করে বেত। সবশেষে ছিল আফিজুর তার মুখে সব সময় হাসি থাকতো। হেড স্যার তাকে বেত মারার পর সে হাসতো। হেড স্যার রেগে গিয়ে আবার মারতেন। এরপরও আফিজুর হাসতো। হেড স্যার আরও রেগে গিয়ে ওকে প্রচণ্ড মারতেন, এরপর বেত ফেলে দিয়ে আফিজুরকে বুকে টেনে নিয়ে স্যার কাঁদতেন। সেদিনের এই স্মৃতি শুনে গোফরান আর আফিজুর রহমান হাসতে হাসতে ফেটে পড়ছিল। আজ কয়েক মাসের ব্যবধানে আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিলো গোফরান।’