কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও ১২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ঠেলে দিয়েছে (পুশ ইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া ভাসানীর মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে বিজিবি ও পুলিশ। পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবির বরাতে পুলিশ জানায়, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দিয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা শনিবার সকালে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১২ জনকে আটক করেন। তারা ভারত থেকে সীমান্তপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। তারা বাংলাদেশি। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা।

আটকৃতরা জানান, দীর্ঘদিন আগে তারা কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে ভারতীয় বাহিনী তাদের আটক করে। শুক্রবার গভীর রাতে ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তের কোনও এক স্থান দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। সীমান্ত থেকে ভূরুঙ্গামারী সদরের দিকে আসার সময় কামাত আঙ্গারিয়া ভাসানীর মোড় থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন, ‘১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে বিজিবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তারা সবাই ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।’

অপরদিকে, শুক্রবার রাতে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকার কেদার ইউনিয়নের শোভারকুটি সীমান্ত দিয়ে দুই পুরুষ, দুই নারী, তিন শিশু এবং বলদিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গালীরকুটি সীমান্ত দিয়ে এক নারী ও দুই শিশুকে শুক্রবার রাতে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেদার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া ও বলদিয়া ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি কমান্ডার আব্দুল মান্নান। তবে এ বিষয়ে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

একই রাতে ফুলবাড়ী সীমান্ত পথে নারী-শিশুসহ ১৪ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। তারা ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। রাতেই তাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।