বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোয় শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন

PANCHAGARH-CHITMAHAL-PIC-01পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারি জেলার বিলুপ্ত ছিটমহলে শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবিতে পঞ্চগড় শহরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার  নাগরিক অধিকার সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিট এসব কর্মসূচি পালন করে।
বেলা ১১টায় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিলুপ্ত ছিটমহলের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
এ সময় নাগরিক অধিকার সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মো. মইনুল হক, সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মফিজার রহমান, হাফিজউদ্দিন (লালমনিরহাট), আ স ম নুরুজ্জামান, মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বক্তারা বাংলাদেশের ভেতরে থাকা বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় দ্রুত পাঠদান অনুমতি, মঞ্জুরি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্রুত এমপিওভুক্তকরণের দাবি জানান।

পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাতে বাংলাদেশের ১১১টি ছিটমহলের অধিবাসীরা বাংলাদেশি হিসেবে স্বীকৃতি পায়।  এর পরপরই বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিভাবে পাঠদান অনুমতি, মঞ্জুরি, উপবৃত্তির তালিকাসহ এমপিওভুক্তি করা হয়নি। বিলুপ্ত ছিটবাসীদের এসব দাবি মেনে নিতে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে।

নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলায় ২৮টি, কুড়িগ্রামে আটটি, লালমনিরহাটে ৯টি এবং নীলফামারী জেলায় একটি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়।

/বিটি/