সিলেটে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঢাকায় গ্রেফতার

গ্রেফতারের প্রতীকী ছবিসিলেট নগরের জিন্দাবাজারে মিসবাহ উদ্দিন নামের একজনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি কবীর আহমেদকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের ঘটনার ১২ দিন পর ঢাকার শাহবাগে মৎস ভবন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার নূরুল হুদা আশরাফি জানান, ঘটনার পর থেকেই কবীর আত্মগোপনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তাকে ঢাকার শাহবাগের মৎস ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কবীর সিলেটের দক্ষিণ বলদি গ্রামের সুনা মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় নগরের জিন্দাবাজারে জিম থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্যে মিসবাহ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ একটি মার্কেটের সিসি ক্যামেরা থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখতে পায় কবীর চাপাতি মুছতে মুছতে চলে যাচ্ছে।

নিহত মিসবাহ উদ্দিন ছাতক দোয়ারাবাজারের চন্ডিপুর গ্রামে রহমত উল্লাহ ছেলে। এ হত্যার ঘটনায় ২৭ নভেম্বর রাতে নিহতের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত হত্যা মামলায় মিসবাহ’র বন্ধু কবীর আহমদকে প্রধান আসামি করা হয়। পুলিশের ধারণা, বন্ধুত্বের দ্বন্দ্বের জেরেই মেজবাহকে হত্যা করা হয়।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মিসবাহর পিতা রহমত উল্লাহ জার্মানপ্রবাসী। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ান জন্য প্রায় ৮ বছর আগে পরিবারকে সিলেট নগরের মজুমদারী কোনাপাড়ার নিয়ে আসেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে (নিহত মিসবাহ) একই সঙ্গে থাকতেন। ২০১৪ সালে সিলেট কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন মিসবাহ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেখার সুযোগ না পেয়ে আর তিনি পড়াশুনা চালিয়ে যাননি। গত রমজান মাসে বন্ধু কবীরের সঙ্গে নগরের কাজী ম্যানশনে বিরোধের পর তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- 


গড়ে উঠছে রোহিঙ্গাদের নতুন বসতি

/এফএস/