বিমানবন্দরে নার্গিসের ভাই শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, 'নার্গিসের মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে এক সপ্তাহের জন্য তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এক সপ্তাহ পর তাকে আবার ঢাকায় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।' পরে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বাড়ি পৌঁছান নার্গিস।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ থেকে পরীক্ষা শেষে বের হয়ে আসার সময় নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কোপায় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। তার অবস্থা ছিল সঙ্কটাপন্ন। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল থেকে দ্রুত তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় এক মাস স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ঢাকায় পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) নেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন নার্গিস।
এ ঘটনায় দায়ের মামলায় ২৬ ফেব্রুয়ারি নার্গিসকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো।
এ ব্যাপারে আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুলি মাহফুজুর রহমান জানান, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিক আদালতে মামলার শুনানির তারিখ রয়েছে। ওই দিন শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
তবে নার্গিসের আদালতে হাজির হওয়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে ভাই শাহিন বলেন, ‘ঢাকায় ফিরে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, নার্গিসের ওপর হামলার পরদিন ৪ অক্টোবর বদরুলকে একমাত্র আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন তার চাচা আবদুল কুদ্দুস। ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বদরুল। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। ৮ নভেম্বর নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। পরে ৫ ডিসেম্বর, ১১ ডিসেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩৩ জন।
/বিটি/এফএস/