বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই চিকিৎসক, দুর্ভোগে রোগীরা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ডাক্তার না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।টিকিট নিয়ে দেড়-দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা না পাওয়ায় রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।Barlekha-Haspatal-2




বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জরুরি, আন্ত ও বহির্বিভাগে চিকিৎসক থাকার কথা রয়েছে। অথচ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে আসা রোগীরা ডাক্তার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলেও সকাল ১১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের বারান্দায় ৫০-৬০ জন রোগীর ভিড় জমে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনও ডাক্তার না আসায় রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা বিভিন্ন জনকে ফোনে চিকিৎসক না পাওয়ার বিষয়টি জানাতে থাকেন।
কাঠাঁলতলী এলাকার মুজিবুর রহমান জানান, তার শিশু বয়সী ভাতিজার ডায়রিয়া দেখা দিলে সকাল ৯টায় হাসপাতালে যান। টিকিট সংগ্রহ করে সোয়া দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার না পেয়ে তিনি ফিরে যান।
টিকিট সংগ্রহ করে বহির্বিভাগে অপেক্ষমান রোগী আব্দুল কাদির, সাইদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আজিজুন নেছা, খলিল মিয়া, সেলিম আহমদ, জোসনা বেগম, চায়না আক্তার অভিযোগ করে জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় নানা অসুখ নিয়ে তারা হাসপাতালে আসেন। কোনও চিকিৎসক না পাওয়ায় তারা চরম দুর্ভোগ পোহান। ডাক্তার না থাকায় অনেকেই ফিরে গেছেন। অবশেষে সকাল ১১টা ২০ মিনিটের সময় একজন ডাক্তার চেম্বারে বসলে তারা তাকে দেখিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিয়েছেন।
বড়লেখা পৌরসভার কাউন্সিলর জেহিন সিদ্দিকী জানান, রোগিদের ফোন পেয়ে সকাল সোয়া ১১টায় হাসপাতালে গিয়ে তিনি রোগীর প্রচুর ভিড় ও উত্তেজনা লক্ষ্য করেন।
বড়লেখা আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় সিংহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ট্রেনিংয়ে যাওয়ায় ও আরএমও এবং মেডিক্যাল অফিসার ছুটিতে থাকায় বেশ সমস্যা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট পার্থ সারতি পালকে দিয়ে বহির্বিভাগে রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
/এআর/