শাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে আহত ৮

SUST Pic (3)শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে শাবি ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের একটি ফ্লেক্সিলোড দোকানে যান শাবির একজন ছাত্রী। এসময় সেখানে উপস্থিত এলাকার লিমন ও মোস্তাক নামে দুই বহিরাগত ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিচিত কয়েকজনকে জানালে তারা লিমন ও মোস্তাকের সঙ্গে কথা বলতে যান। কথা বলার এক পর্যায়ে মোস্তাক এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও গালিগালাজ করে। পরে বিষয়টি হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে এলাকাবাসীরা অর্ধশতাধিক ককটেল ফাটায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

SUST Pic (5)এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘মোস্তাক ও লিমনের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি’র দাবি জানান।

ওসি আক্তার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ৫২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এদিকে, সংঘর্ষের সময় শাবি শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত একটি রেস্টুরেন্ট এলাকাবাসী ভেঙে ফেলে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করে এবং ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে বলেও তারা জানান। এছাড়া, এলাকাবাসী ওই সময় রেস্টুরেন্টে খাওয়া অবস্থায় শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে অন্তত আট জনকে আহত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

তবে অভিযুক্ত মোস্তাক ও লিমন ইভটিজিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। লিমন বাংলা ট্রিবিউনকে কাছে দাবি করেন, ‘ঘটনার সময় শাবির শিক্ষার্থীরা এলাকার মুরব্বিদের সঙ্গে বেয়াদবি করেন। ওই সময় ঘটনার প্রতিবাদ করা হয়।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দীন আহমেদ কামরান। তিনি উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।

শাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মুনশী নাসের ইবনে আফজাল জানান, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকার প্রভাবশালী লোক ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

/এমডিপি/