রাগীব আলীর প্রতারণার মামলার রায় ৯ মার্চ

 

রাগীব আলীপ্রতারণার অভিযোগে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ৯ মার্চ। সোমবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো.সাইফুজ্জামান হিরো। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এতথ্য জানান।

অতিরিক্ত পিপি আরও জানান, ‘গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে সোমবার (৬ মার্চ) যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন বিচারক। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং তার ছেলে আবদুল হাই পত্রিকার সম্পাদক। পলাতক অবস্থায়ও পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করে পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন-এ অভিযোগে সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার গত বছরের  ৮ সেপ্টেম্বর মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই দিন মামলাটি আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। সমন পাওয়ার পরও জবাব না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য হয়।

পত্রিকা প্রকাশনা ও সম্পাদনা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়মিত প্রকাশিত ২৯টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনাকে সাক্ষী রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া মামলার বাদী ও বাদী পক্ষের আইনজীবীসহ ছয়জন সাক্ষী ছিলেন। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করে যুক্তিতর্কের তারিখ ধার্য করেন।

মামলার আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউন’কে বলেন, আমরা  আদালতে প্রতারণার বিষয়টি যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ছেলেসহ রাগীব আলী বিরুদ্ধে প্রতারণার আরেক মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার জন্য রাগীব আলীর (৫৮) ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের (২৯) কারাদণ্ডের জন্য আবেদন করেছেন মামলার বাদী। এ রায়ের মধ্য দিয়ে পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে আইন মান্য করার অনন্য একটি উদাহরণ স্থাপিত হবে বলে আমরা মনে করি।

উল্লেখ্য একই আদালতে গত ২ ফেব্রুয়ারি তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় ছেলেসহ রাগীব আলীকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ছেলে-মেয়েসহ রাগীব আলীর বিরুদ্ধে তারাপুর চা-বাগান দখল করে সরকারের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অপর একটি মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন করায় এ মামলার রায় ঘোষণা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। এ দু’টি মামলায় গত বছরের ১০ আগস্ট আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে রাগীব আলী ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে ভারত চলে যান।

/জেবি/এমএনএইচ/