পাহাড়ি ঢলে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের রাস্তায় ধস

madobkundo-2ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের অভ্যন্তরীণ রাস্তার একাংশ ধসে পড়েছে। জলপ্রপাতের মূল কেন্দ্রস্থলের সিঁড়ির নিচে পাথরের মাটিও সরে গেছে। এতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

খবর পেয়ে বড়লেখা ইউএনও এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

madobkundo-moulviজানা গেছে, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক সড়কের পর্যটন রেস্তোরাঁ এলাকা সংলগ্ন প্রায় ৪০ ফুট জায়গা প্রায় দুই ফুট নিচের দিকে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশটি ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। এছাড়া রোস্তারাঁর কাছে উপরে ওঠার সিঁড়ির বামপাশের নিচের প্রায় ৪০ ফুট এবং জলপ্রপাতে নামার সিঁড়ির ডান পাশের নিচের প্রায় ৩০ ফুট জায়গার মাটি সরে গেছে। এতে ইকোপার্কের সড়ক ও সিঁড়ি দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনও মুহূর্তে এখানে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান বলেন,আমি স্থানটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটকদের এখানে আপাতত না আসাই ভালো।

madobkundo-3বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরএসএম  মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছরই সড়কটি একবার দেবে গিয়েছিল। এলজিইডি কাজ করেছিল। এবারও ভারি বর্ষণে দেবে গেছে। এছাড়া সিঁড়ির মাটি সরে গিয়ে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তায় পানি। মালামাল নেওয়া যাচ্ছে না। বালির বস্তা ফেলে প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল  মামুন বলেন, বন উজাড় ও মাটির টপ সয়েল উন্মুক্ত হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি মাটির ভেতরে প্রবেশ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। গত বছরও সড়কটি দেবে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, ভালভাবে কাজ হলে রাস্তা দেবে যেত না। এজন্য তিনি বন বিভাগকে দায়ী করেন।

/বিএল/