‘টাইমস্কেল’ আটকে দেওয়ায় শাবি উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে উকিল নোটিশ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)

টাইমস্কেল আটকে দেওয়ায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি)উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া ও রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে উকিল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খাদিজা আক্তার। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের পক্ষে এ নোটিশ দেন তিনি। শাবি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন উকিল নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বর্তমানে তিনি ছুটিতে আছেন।

শাবির অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে টাইম-স্কেল দিচ্ছেন না উপাচার্য। আইনজীবী খাদিজা আক্তারের নোটিশে তিন দিনের মধ্যে বর্ণিত দাবির সমাধান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, ফজলুর রহমান জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ৪র্থ গ্রেডে বেতনভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। তার গ্রেডের শেষ অবস্থানে পৌঁছার এক বছর পর বেতন স্কেলের নিয়ম অনুসারে টাইম স্কেলের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সব ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা পূরণ করা সত্ত্বেও তাকে টাইম স্কেল দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী, ‘প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা নিজ বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার এক বছর পর তাহার চাকরির সন্তোষজনক রেকর্ডের ভিত্তিতে এবং প্রচলিত শর্তাদিপূরণ সাপেক্ষ তাহার পদের বেতনস্কেলের পরবর্তী উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) হিসেবে পাইবেন।’

 

জানা যায়, ফজলুর রহমান ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি তার বেতন স্কেলের (৪র্থ স্কেল) শেষ সীমায় পৌঁছান। এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি নিয়ম অনুসারে উচ্চতর পরবর্তী স্কেল টাইম স্কেল হিসেবে পাওয়ার আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অডিট শাখাও তার প্রাপ্যতার বিষয়ে মত দেন। কিন্তু গত বছরের ৩১ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৯৫ তম সভায় আবেদনটি বাতিল করে দেওয়া হয়।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকার ভারতীয় জাল রুপিসহ দুই জন আটক