কুয়েতে নিহত একই পরিবারের পাঁচ জনের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন সম্পন্ন

কুয়েতে নিহত ৫ বাংলাদেশির জানাজা ও দাফন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সম্পন্ন






কুয়েতে এসির কম্প্রেসার বিস্ফোরণে নিহত পাঁচ বাংলাদেশির জানাজা ও দাফন তাদের নিজ গ্রাম মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কান্দিগাঁওয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় কমলগঞ্জের সফাত আলী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
একই পরিবারের এই পাঁচ সদস্য হলেন কুয়েত প্রবাসী জুনায়েদ মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৪), বড় মেয়ে জামিলা আহমদ (১৫), বড় ছেলে ফাহাদ আহমদ (১২), ছোট ছেলে ইমাদ আহমদ (১০) ও ছোট মেয়ে নাবিলা আহমেদ (৫)।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় লাশগুলো ঢাকা থেকে দু’টি অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী ও স্বজনরা এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক সাথে পাঁচটি লাশ আসার পর গোটা কান্দিগাঁও গ্রামে ছিল শোকের মাতম। স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। গ্রামের চতুর্দিকে নামে জনতার ঢল, যেন শোকের সাগরে ভাসতে থাকে কান্দিগাঁও। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিহতদের আত্মীয়স্বজনরা ভিড় করেন বাড়িতে। যারা সান্ত্বনা দিতে আসেন তারাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম , কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও ওসি বদরুল হাসান লাশগুলো গ্রহণ করেন এবং নিহতদের পরিবারের কাছ হস্তান্তর করে তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাত সাড়ে ৮টায় সফাত আলী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা ময়দানে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে কান্দিগাঁও পারিবারিক কবরস্থানে সারিবদ্ধভাবে তাদের কবর দেওয়া হয়।