সিলেটে পাথর তুলতে গিয়ে নিহত ৪

সিলেট


সিলেটের কানাইঘাটের লোভাছড়ার বাংলাটিলা এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে এক কিশোর শ্রমিক ও তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই জন। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো- কানাইঘাট উপজেলার ১নং পূর্ব লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কান্দালা গ্রামের আলমাস উদ্দিনের দুই ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩) ও শাকিল (১২), একই গ্রামের মছব্বির আলীর ছেলে মারুফ আহমদ (১১) ও মুলাগুল গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে জাকির হোসেন (১৭)। এর মধ্যে নাহিদ কানাইঘাট দারুল উলুম মাদ্রসা, শাকিল হারিছ চৌধুরী একাডেমি ও মারুফ কান্দাল হাফিজিয়া মাদ্রসার শিক্ষার্থী। জাকির হোসেন পাথর শ্রমিক।
জানা গেছে, কয়েক একর জায়গার নিয়ে অবস্থিত লোভাছাড়ায় পাথুরে টিলা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দেশীয় পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ তৈরি এখানকার একটি টিলা থেকে করে দীর্ঘদিন ধরে পাথর তোলা হচ্ছে অবৈধভাবে। মঙ্গলবার সকালে নিহতরা এই সুড়ঙ্গের ভেতরে ঢুকে পাথর তুলতে গেলে পাথরের বড় একটি অংশ তাদের ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়।
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিখোঁজ দুই শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
ওসি আবদুল আহাদ বলেন, ‘শ্রমিকরা বেশি মজুরির জন্য ঝুঁকি নিয়ে পাথর তুলতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। নিহত চার জনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ চলছে।’
ওসি আরও জানান, এই চক্রটি রাত থেকে সকাল পর্যন্ত গোপনে পাথর তুলে থাকে বলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছে। এই চক্রের মূল হোতাকে পুলিশ খুঁজছে। এরই মধ্যে সহযোগীসহ মূল হোতার নাম পুলিশ পেয়েছে বলে জানান ওসি।
কানাইঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘নিহত চার জনের মধ্যে দু’জন মাদ্রাসা, একজন স্কুল শিক্ষার্থী ও একজন কিশোর শ্রমিক রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন-
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর প্রবাসীর লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচ বিদেশিসহ আটক ২৬