শাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ১

গ্রেফতারের প্রতীকী ছবিআধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ জুয়েম। বুধবার রাত ১০টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, শাবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ (২১ মার্চ) দুপুরে শাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। সেই প্রেক্ষিতে জুয়েম নামে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন সেখানে রয়েছি বলেও জানান তিনি।
এর আগে মামলায় (নম্বর ১৭) ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আবু সাঈদ আকন্দ, সাজিদুল ইসলাম সবুজ, শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম অন্তু, সাংগঠনিক সম্পাদক দোলন আহমেদ, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র বর্মণসহ অনেকে। ।
এদিকে বুধবার দুপুরে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আকন্দ ও সাজিদুল ইসলাম সবুজকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ শাখা ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় শাবি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমরা এ ঘটনায় কোনওভাবেই জড়িত নই। আমাদের পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। এ সময় তারা গুলিবর্ষণকারী তারিকুলের বহিষ্কারের দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী সাতকরা রেস্টুরেন্টে শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তারিকুল ইসলামের অনুসারীদের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় ছোড়া গুলিতে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এসএম আব্দুল্লাহ রনি।