স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের বহুলা এলাকার বাসিন্দা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রাজু মিয়া ও সৈয়দ আলী দাপটের সঙ্গে মাদক ব্যবসা করে আসছিলো। একাধিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও বেরিয়ে আসে দ্রুত সময়ের মধ্যেই। তবে সম্প্রতি দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানের ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে আত্মগোপনে যায়। তারা দু’জনেই ভারতে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও এ ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় সৈয়দ আলী ও রাজু’র নাম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে রয়েছে। এদের আস্তানা থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মাদকের চালান। মাদক ব্যবসা করে তারা অল্প দিনেই বনে গেছে কোটিপতি। অভিযোগ উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের গভীর সখ্যতা রয়েছে। যে কারণে প্রায়ই আইনের হাত থেকে ফসকে যায় তারা।
মাদক ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সৈয়দ আলী ক্রসফায়ারের ভয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। আমার জানামতে সৈয়দ আলী আজমীর শরীফ চলে গেছে। সেখানে হয়তো কয়েক মাস অবস্থান করবে।’
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক জানান, কয়েক বছর আগে মাদক ব্যবসায়ী রাজু প্রথমে শহরতলীর মাছুলিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে মাদক ব্যবসা করতো। এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে কয়েকবার আল্টিমেটাম দিয়েও তাকে না সরাতে পেরে তার ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর থেকে সে বহুলা এলাকায় মাদক ব্যবসা শুরু করে।
এ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম জানান, সারাদেশের মতো হবিগঞ্জ জেলায়ও শুরু হয়েছে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান। শনিবার পর্যন্ত টানা অভিযানে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, কোনও মাদক ব্যবসায়ী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের জানা যাই। হবিগঞ্জের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী ও রাজুকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।