পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পম্মদপুর গ্রামের লেবাস মিয়া ও এলাইছ মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে হাওর এলাকার বিলের সরকারি জমি দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন– লেবাস মিয়া গ্রুপের সফিকুর রহমান ও এলাইছ মিয়া গ্রুপের আব্দুল মালিক। নিহতদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম ও খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অরবিন্দু পোদ্দার বাচ্চু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই হাওরের খাস ভূমির দখলদারিত্ব নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৫-২০ বছর থেকে বিরোধ চলছে। এনিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক সালিশ- বৈঠক হলেও এর কোনও সুরাহা হয়নি। ২-৩ দিন থেকে পুরোনো এ দ্বন্দ্ব আবারও শুরু হয়। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়লে কয়েকজন আহত হন ও কয়েকটি বাড়িও ভাংচুর হয়। পরে স্থানীয়রা উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে আবারও উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। কয়েক ঘন্টা সংর্ঘষ চলার পর পুলিশ ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ঘটনায় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।