জনরায় জালিয়াতি করে নিজেদের পক্ষে নিতে চায় সরকার: মুক্তাদির

বক্তব্য রাখছেন খন্দকার আবদুল মুক্তাদির(ছবি– প্রতিনিধি)

সিলেট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এই চ্যালেঞ্জে বিএনপি জয় পাবে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। কারণ জনবিচ্ছিন্ন সরকার চাচ্ছে, যেকোনোভাবেই জনগণের রায় জাল-জালিয়াতি করে তাদের পক্ষে নিতে, সেই ছক কষছে তারা। এজন্য আমাদের সজাগ থাকবে হবে।’

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ‘সিলেটে বিএনপির আমলে যে উন্নয়ন হয়েছিল, এরপর আর কোনও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। তবে উন্নয়নের নামে হয়েছে কোটি টাকা লুটপাট। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সিলেটের জন্য কি করছেন, আমাদের সবার জানা আছে। কিন্তু বর্তমান অর্থমন্ত্রী সিলেটের জন্য কিছুই করতে পারেননি। বরং নানা দিক থেকে সিলেট পিছিয়ে গেছে। এককথায় বিএনপির নামের সঙ্গে উন্নয়ন সংযুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের আমলে কেউ ভয়ে বিনিয়োগ করতে চায় না। বিনিয়োগ করলেই সরকার নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। এককথায় এই সরকারের আমলে সিলেটের মানুষের কপাল পুড়েছে।’

খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের অভিযোগ, ‘নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে প্রতিদিনই গ্রেফতার হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এমনকি, আমাদের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের প্রার্থিতা চাওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার। একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইবেন, পাবেন একজন। এখানে একজনের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রার্থী থাকতেই পারেন। কিন্তু দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। সিলেটের সর্বশেষ দুই সিটি নির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছে, দলের প্রার্থীর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা কি করতে পারেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– সিলেট নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বক্ত সাদেক, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম আলো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, জেলা যুবদল নেতা সিদ্দীকুর রহমান পাপলু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ।