হবিগঞ্জে প্রাথমিকে শিক্ষক সংকট, পাঠদান ব্যাহত

হবিগঞ্জের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়হবিগঞ্জের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েগুলোতে শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।  কম শিক্ষক থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ফলে লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের।

হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ হাজার ৫২টি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৭ হাজার ৭০ জন।  এরমধ্যে শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে সাড়ে ৪শ জন। ফলে অধিকাংশ স্কুলেই রয়েছে শিক্ষক সংকট। ৮টি উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের সাড়ে ৪শ শিক্ষক সংকট রয়েছে। এরমধ্যে ১৩০ জন প্রধান শিক্ষক ও ৩২০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

হবিগঞ্জ আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জেবুনেচ্ছা জেবু বলেন, ‘আমার স্কুলে ১১টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন আটজন। শূন্যপদ রয়েছে তিনটি। শিক্ষক সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ নানা সমস্যা হচ্ছে।’  

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন সময়ে সরকারি অনুষ্ঠান থাকলে সেখানে যেতে হয়। তাই দ্রুত শূন্যপদগুলো পূরণ করতে পারলে শিক্ষার্থীদের আরও ভালো পাঠদান দেওয়া সম্ভব হবে।’

একই স্কুলের শিক্ষার্থী রহিম জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে তাদের পড়ালেখা ঠিকভাবে হচ্ছে না।

হবিগঞ্জের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়বহুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বলেন, প্রতি ৪০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার কথা রয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বেশি।

একই স্কুলের অপর এক শিক্ষিকা জানান, তাদের স্কুলে প্রাক প্রাথমিক সেকশনে কোনও শিক্ষক নেই।  এ কারণে তারা অন্য ক্লাস রেখে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। তিনি দাবি করেন,  দ্রুত তাদের শূন্যপদটি পুরণ করলে শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব।  

হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, অনেক স্কুলে  শিক্ষক সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের ভালো করে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি দাবি করেন, জেলার সাড়ে ৪শ শূন্যপদগুলো পূরণ করতে পারলে শিক্ষকরা আরও ভালোভাবে পাঠদান দিতে পারবেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকসহ প্রাইমারি স্কুলের শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আশাকরি, শিগগিরই শূন্যপদগুলো পূরণ করে শিক্ষার্থীদের আরো ভালোভাবে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’