রাজনৈতিক কারণে আ.লীগ নেতাকে হত্যা, অভিযোগ পরিবারের

নিহত আ.লীগ নেতার স্বজনদের আহাজারি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন বলে স্বজনদের অভিযোগ। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্বজনরা।

নিহত জয়নালের ভাতিজা আরশাদ মিয়া বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদে সদস্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল চাচার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। নিহত জয়নাল আবেদীন সদস্য প্রার্থী রাশেদা আক্তারের পক্ষে এলাকায় কাজ করছিলেন। এ কারণে ওই মহলটি তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।

নিহতের বোন রিনা আক্তার বলেন, তার বাবা মুসলিম উদ্দিন ছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর রঙ্গাচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জয়নাল ছাত্রলীগ করতো। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়। সব সময় রাজনীতি ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। এ কারণে এলাকায় তার বেশ শত্রু সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও তার ভাই সব সময় এলাকার গরিব মানুষের পক্ষে কথা বলতেন। এ কারণে অনেকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতো। তারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’

নিহত আ.লীগ নেতা জয়নাল আবেদীননিহতের ছেলে মঙ্গলকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আরিফ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের মা আনোয়ারা বেগম ও স্ত্রী আফরোজা আক্তার।

ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে যায় স্বজনরা। এলাকাবাসী হত্যার সঙ্গে জড়িত সেলিমকে রক্তাক্ত কাপড়চোপড়সহ আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনাটি পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সব বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ বিভিন্নভাবে ঘটনার তথ্য ও কারণ উদঘাটনে কাজ করছে। ঘটনার পরপর চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও মো. হায়াতুন নবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও ডিবি ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য-উপাত্তসহ আলামত সংগ্রহ করেছেন।