স্থানীয় দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ এওলা বলেন, রবিবার বিকালে হঠাৎ বিকট শব্দে নদী রক্ষা বাঁধ প্রায় ১০০ হাত জায়গা নিয়ে ভেঙে যায়। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয়। আমার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান বলেন, ‘প্রতি ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি, কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে গেছে তাই এটা মেরামত করা হচ্ছে। বিশেষ করে আউশকান্দি, ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়ন বেশি ক্ষতি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সবসময় হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন পানিবন্দি লোকজন।’
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে আমরা সেখানে বালুর বস্তা ফেলেছি। ভাঙন ঠেকাতে জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’