মাংস বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম ও গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া।
সংগঠনটি সদর উপজেলায় ৪৪০, দিরাইয়ে ৫৬০ ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৫২০ প্যাকেট মাংস বিতরণ করে।
মাংস নিতে আসা গৌরারং ইউনিয়নের সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমার পাঁচ সন্তান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অভাবে দিন কাটে। ঈদের দিনেও সন্তানদের মুখে মাংস তুলে দিতে পারি না। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাংস খাবো।’
এনায়েতনগর গ্রামের জুহেনা বেগম বলেন, ‘গেল ঈদে আমার সন্তানদের মাংস খাওয়াতে পারিনি। আজ মাংস দিয়ে ভাত খাওয়াবো।’
হোসেনপুর গ্রামের রুমি বেগম বলেন, ‘মাংস বিতরণ আরও বাড়ানো হলে, সবাই কোরবানির মাংস খেতে পারতো।’
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ইসলামিক রিলিফ মূলত হতদরিদ্রদের কল্যাণে কাজ করে। হাওর এলাকার এতিমদের কোরবানির মাংস দেওয়ার জন্য ৩৮টি গরু জবাই করে সমহারে মাংস বিতরণ করা হয়েছে।’