গাছের সঙ্গে ঝোলানো শিশুর ক্ষতবিক্ষত লাশ

01সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে কদম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির নাম তুহিন। রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাজাউড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাজাউড়া গ্রামের আবদুল বাছিরের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রবিবার রাতে তুহিন বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। বাবা বাছির ঘর থেকে বের হতে গেলে দেখতে পান বসতঘরের সামনের দরজা খোলা। তার ছেলে তুহিন বিছানায় নেই। পরে বাছির ঘটনাটি স্বজন ও প্রতিবেশীকে জানান।
তুহিনবসতঘরের কোথাও তুহিনকে না পেয়ে বাড়ির বাইরে খোঁজাখুঁজি করা হয়। একপর্যায়ে বাড়ির সামনের সড়কে রক্ত দেখতে পেয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে বাছির দেখেন গ্রামের মসজিদের পাশে একটি কদম গাছে ঝুলে রয়েছে তার সন্তানের লাশ। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার  পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়েছে।
আজ সকালে দিরাই থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা তুহিনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
তুহিনের স্বজনদের অভিযোগ, রাতে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে।
02রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
দিরাই থানার এসআই ও ভারপ্রাপ্ত ওসি আবু তাহের মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ডিবি পুলিশ ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা আবদুল বাছির, চাচা আবদুল মচ্ছব্বির, নাছির উদ্দিন, আজিবুল ইসলাম, চাচি খায়রুন্নেসা ও চাচাতো বোন তানিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’