সুরমার পানি উপচে প্লাবিত লোকালয়, দুর্ভোগে বানভাসিরা

পানি ঢুকছে গ্রামে


উজানের ঢলে সুরমা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। সদর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার হালিমপুর, আমবাড়ি, শেখেরগাঁও, মান্নারগাঁও, গনারগাঁও, ইসলামপুর, পিরিজপুর, রামপুর, ধনপুর, জুগিরগাঁও, গোপালপুর, ওয়াজিদনগর, বদরপুর, অচিন্তপুর, বসন্তপুর, হাজারিগাঁও গ্রামের বসতঘর এখনও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট।  

জেলার ১১টি উপজেলার গ্রাম এখনও বানের পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। সড়কগুলো পানিতে ডুবে থাকায় বানভাসি মানুষের র্দুভোগ আরও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের বন্যায় কৃষকের আমন ধানের বীজ তলা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

চারপাশে শুধুই পানি

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা কোরবাননগর ইউনিয়নের হালিমপুর গ্রামের সাদক আলী বলেন,  প্রথম দফার বন্যার পানি দ্রুত নেমে গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আসা বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি পানি প্রবেশ করেছে বাড়িঘরে।

চারপাশে শুধুই পানি

জয়নব বিবি বলেন, সুরমা নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে। প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।

আব্দুছ সোবাহান বলেন, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাঁচাঘর বাড়ি। মাটির দেয়াল ভেঙে পড়েছে। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা। দোয়ারাবাজার উপজেলা মান্নারগাঁও ইউনিয়নের হাজারিগাঁও গ্রামের রাধেশ্যাম দাস বলেন, দু’বার বন্যায় আক্রান্ত হলেও কেউ একমুঠো চাল দেয়নি।

ত্রণের অপেক্ষা থাকা লোকজন

এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের সব আবাসিক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। বসতবাড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় মানুষ পড়েছেন অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।

প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলার ৮৪টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ডে ৩৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৯৩টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৭২৯টি পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট

পানি  উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, উজানে বৃষ্টি কম হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। তবে ধীর গতিতে পানি কমছে।