১৬ বছরেও শেষ হয়নি কিবরিয়া হত্যা মামলা

২৭ জানুয়ারি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৫ সালের এই দিন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় তিনিসহ পাঁচ জন নিহত ও কমপক্ষে শতাধিক লোক আহত হন। হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ৯ বছর পর সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হলেও বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বৈদ্যের বাজার থেকে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলার নিহত হন তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এ ঘটনার রাতেই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সাড়ে ৯ বছর পর ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অন্তর্ভুক্ত আসামিরা হলেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিন, মুফতি সফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ, হাফেজ ইয়াহিয়া।

এরপর, ২০১৫ সালের জুনে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে সেখানে বিচার কাজ শুরু হয়, চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার মোট আসামি ৩২ জনের মধ্যে অন্য একটি মামলায় তিন আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে জামিনে আছেন ১২ জন। পলাতক সাত জন এবং হাজতে আছেন ১০ জন।

মরহুম শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া জানান, দাখিল হওয়া চার্জশিট মিথ্যা বলে আমরা জানিয়ে আসছি বার বার। একই কথা বলবো, সুষ্ঠু তদন্ত না হলে সুষ্ঠু বিচার হবে না। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলার মাটিতে একদিন কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হবে।