লুটপাটের মামলায় আ.লীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি রিমান্ডে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নে ১৩ বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (০৯ জুন) দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবন চন্দ্র বর্মণের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, গত ৩০ মে সাতাইহাল ৬ মৌজার লোকজন পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় ১৩টি ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ১ জুন নোয়াগাঁও গ্রামের জামাল হোসাইন বাদী হয়ে সাতাইহাল গ্রামের নুর উদ্দিন, ইমদাদুর রহমান মুকুলসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর মুকুল আত্মগোপনে চলে যান। পরে বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ মামলায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার (০৭ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক কাওছার আলম এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি মুকুলের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আজ দীর্ঘ শুনানি শেষে পত্র-পত্রিকা, ঘটনার ছবি-ভিডিও পর্যালোচনা করে পবন চন্দ্র বর্মণের আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুজ্জামান। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ।

তদন্ত কর্মকর্তা কাওছার আলম বলেন, এ মামলা তদন্তের স্বার্থে দ্বিতীয় আসামি ইমদাদুর রহমান মুকুলের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।