গ্রেফতার শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব হাসপাতালে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অর্থের জোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব (৩২) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে তাকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই অভিযোগে গ্রেফতার শাবিপ্রবির বাকি চার সাবেক শিক্ষার্থীকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ আন্দোলনে অর্থ সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে আটক সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন জালালাবাদ থানায় সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাত লায়েক আহমদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আশরাফ উল্লাহ তাহের তিনি জানান, নাজমুস সাকিবের করোনা শনাক্ত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মামলার তিন নম্বর আসামি। আর বাকিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার ও মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। পরে মঙ্গলবার বিকালে তাদের সিলেটে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গ্রেফতার সাবেক শিক্ষার্থীরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মঈন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।

এদিকে, নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার সকাল ১০টা ২২ মিনিটে ১৬৩ ঘণ্টা পর আমরণ অনশন ভাঙলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ শিক্ষার্থী। আন্দোলনের ১৩তম ও অনশনের ৮ম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।