বাঁধে অনিয়ম করে কেউ পার পাবে না: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অবহেলা, গাফিলতি এবং দুর্নীতির ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে। অনিয়ম করে কেউ পার পাবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সুনামঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ভেঙে যাওয়া ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদশে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনিয়মের দায়ে অনেকের চাকরি গেছে, অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। দেশের বড় বড় ২২ জন ঠিকাদার কালো তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এখন ঠিকাদারকে ওভারলোডেড করা হচ্ছে না। কাজগুলো ভাগ করে দেওয়া হয়।একজন ঠিকাদার নির্দিষ্ট সংখ্যক কাজ পাওয়ার পর আর কাজ দেওয়া হয় না। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী টাস্কফোর্স কাজের গুণগত মান নিশ্চিতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। 

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধ ভেঙে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা করে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। হাওরের মানুষ যেন স্থায়ীভাবে হাসিমুখে বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পারে, সে জন্য স্থায়ী ফসল রক্ষা বাঁধ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

এ সময় সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, জেলা প্রশাসক মো জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী জহরুল ইসলাম, মো. শামছুদ্দোহাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী হাওরের বেশ কয়েকটি ফসল রক্ষা বাঁধ ঘুরে দেখেন। বিকালে মন্ত্রী সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয়দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।