হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘হাওরের ফসল কেটে ঘরে তুলতে হলে আগামী সাত দিন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে হবে। কয়েকদিন উজানে ভারী বর্ষণ হতে পারে। উজানের ঢল নেমে এলে আবার নদনদীর পানি বাড়বে। তাই সবাইকে বাঁধে নজর রাখতে হবে।’

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উজানীগাঁওয়ে দেখার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। প্রকৃতি সহায় হলে ধান কেটে ঘরে তোলা যায়, সহায় না হলে তোলা যায় না। হাওরের ধান ইতিমধ্যে পাকতে শুরু করেছে। পাকা ধান জমিতে ফেলে রাখা যাবে না। কেটে ফেলতে হবে। ফসলহানির কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করা হবে। জেলা প্রশাসনকে সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের হাতে যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের বন্যায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সারা বছর খাবার সরবরাহ করবেন এবং তিনি সারা বছর খাবার সরবরাহ করেছেন। করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল গাড়িঘোড়া বন্ধ করেন, কিন্তু শ্রমিকের চলাচল বন্ধ করতে পারবেন না। এবার বাইরের জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আনা হবে। শ্রমিকের পাশাপাশি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হবে।’

এ সময় জেলা প্রশাসক মো জাহাঙ্গীর হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।