ধোপাদীঘির ল্যাম্পপোস্ট খুলেছে কারা কর্তৃপক্ষ, বিকালে বসে সমাধান

দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে থাকা সিলেট নগরীর ধোপাদীঘিকে নান্দনিক রূপ দেয় সিটি করপোরেশন। তবে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দীঘির সৌন্দর্যবর্ধনে লাগানো ১২টি ল্যাম্পপোস্ট খুলে ফেলেছে কারা কর্তৃপক্ষ। দুপুরে ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট খুলে ফেলে কারা কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা, এমন অভিযোগ করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে কারা পুলিশ এসে ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট ভাঙচুর করেছে। সেখানে কাজে থাকা শ্রমিকরা বিষয়টি জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। আমি বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তারা যদি বলে তাদের জায়গায় আমরা কাজ করছি, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে পারতো। আমরাতো আমাদের জায়গায় ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ করেছি। 

মেয়র দাবি করেন, উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে এমন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যেসব জায়গায় ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে তা সিসিকের জায়গা। 

তবে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন্স মো. কামাল হোসেন বলেন, কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি ব্রবহার করতে চায়, সেক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে। সিলেট সিটি করপোরেশন যদি কারা কর্তৃপক্ষের জায়গা নিতে চায় তবে সেটা প্রক্রিয়ার মধ্যে হওয়া দরকার ছিল। তবে তারা কোনও অনুমতি না নিয়ে কাজ করেছে। ওয়াকওয়ে লাগোয়া রয়েছে সিলেট কারাগার-২। এখানে আসামিরাও রয়েছে। 

অবশ্য বিকালে উভয়পক্ষ বসে বিষয়টির মোটামুটি সমাধান হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।