দোষ স্বীকার করলেন ঝুমন দাশ, পাঠানো হলো কারাগারে

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় গ্রেফতার সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের ঝুমন দাশকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে শাল্লা থানা পুলিশ থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুপুর আড়াইটায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

সুনামগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর বোরহান উদ্দিন জানান, ঝুমনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করা হয়। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

ঝুমনের মা নিভা রানী দাস জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কয়েকজন পুলিশ এসে বলেন, ঝুমনকে পাশের নোয়াগাঁও বাজারে যাওয়ার জন্য। ওখানে গেলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় তাকে সারাদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঝুমন নিজের ফেসবুক আইডিতে ধর্ম বিষয়ে ‘ভন্ডামি-ইতরামি’ শব্দ উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। ওই পোস্টের কারণে এলাকায় তিন দিন পুলিশ মোতায়েন ছিল। মঙ্গলবার তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এর আগে, ফেসবুকে হেফাজতের সাবেক নেতা কারাবন্দি মামুনুল হকের সমালোচনা করায় গত বছরের ১৬ মার্চ গ্রেফতার হন ঝুমন দাশ। সাড়ে ছয় মাসের অধিক জেল খেটে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরেন। ২০২১ সালের ১৭ মার্চ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই গ্রামে তাণ্ডব চালান মামুনুল হকের অনুসারীরা।