একওয়ানকে ইতালিতে পাঠাতে ১৯ লাখে চুক্তি করা সেই দম্পতি গ্রেফতার

লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের নির্যাতনে যুবক একওয়ান ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত সুনামগঞ্জের এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধর পাশা গ্রামের আবুল হোসেন (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০)।

সোমবার (১০ অক্টোবর) ভোরে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের একটি দল সিলেট ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা, ব্যাংকের চেক বই, এটিএম কার্ড, সাতটি মোবাইল ফোন ও পাসপোর্টসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের মার্চে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধর পাশা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে একওয়ান ইসলামকে ইতালি পাঠানোর জন্য মৌখিকভাবে ১৯ লাখ টাকায় চুক্তি করে এই দম্পতি। চুক্তি মোতাবেক আসামিদের নগদ ১৫ লাখ টাকা দেন মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম। পরে একওয়ানকে ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়ায় অবস্থানরত ওই দম্পতির ছেলে আলী হোসেন ও তার আত্মীয় সালেহ আহমদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

তখন বাদী তার ছেলের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, সে লিবিয়ায় আছে এবং অনেক কষ্টে দিনযাপন করছে। একওয়ান লিবিয়ায় থাকা মানবপাচারকারীদের নির্মম নির্যাতনে চলতি বছরের ১৬ জুন মারা যান। ২৯ সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় লাশ আনা হয়। এই ঘটনায় বাবা তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর  জগন্নাথপুর থানায় মানবপাচার আইনে আবুল হোসেন, আছমা বেগম (৪০), তাদের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী আলী হোসেন (২৫), আত্মীয় সালেহ আহমদকে (৪৫) আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় এদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। লিবিয়া থাকা আসামিদের গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে।