১৭ বছর পর হত্যা মামলার রায়ে সাত জনের যাবজ্জীবন

ক্যারাম বোর্ডের গুটি চাওয়াকে কেন্দ্র করে উকিল আলী  খুনের ঘটনায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২০ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ঝলক রায় এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল মতিন, নুরুল হক, আনর আলী, আফতাব উদ্দিন, সিরাজ মিয়া, হেলাল উদ্দিন ও মংলা মিয়া। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে। আসামিদের মধ্যে মংলা মিয়া ও হেলাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে হুসিয়ার আলী ও উকিল আলীর ভাতিজা মাসুক মিয়ার মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বিকালে উভয় পক্ষের মুরুব্বিরদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। আপোষ মীমাংসার পরে উকিল আলী বাজিতপুর গ্রামের জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় আসামিরা হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় উকিলকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার একদিন পরে উকিলের ভাই আব্দুর রউফ বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় ১৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক এই মামলার ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আট জন আসামিকে খালাস দেন। ১৮ জন আসামির মধ্যে বিচার চলাকালীন সময়ে তিন জন মরিা যান।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রহুল আমিন তুহিন বলেন, মামলা দায়েরের ১৭ বছর পরে সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ঝলক রায়। আসামিদের মধ্যে দুই জন পলাতক রয়েছেন।  

আসামি পক্ষের আইনজীবী মল্লিক মমঈনুদ্দিন সুহেল জানান, আসামি পক্ষ আদালতে রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতের আপিল করবে।