সুনামগঞ্জে ২৬০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ

সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের ২৬০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে নৌপুলিশ। এ সময় ৩ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার সুরমা নদীর পৈন্দাগ্রাম এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন জিয়াউর রহমান (৪৫), নিজাম উদ্দিন (৩৫) ও আব্দুল মান্নান (২৮)। তাদের বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কাচিরগাতি ও ওমরপুর গ্রামে।

নৌপুলিশ পুলিশ জানায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্ত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারিরা ২৬০ বস্তা ভারতীয় চিনি নিয়ে আসে। এরপর ভারতীয় বস্তা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের বস্তায় ভরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে দিরাই বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। সুরমা নদীতে টহল দেওয়া নৌপুলিশ তাদের সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে। এ সময় তারা চিনির চালানের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, এগুলো ভারতীয় চিনি। পরে পুলিশ তাদের টুকেরবাজার নৌপুলিশ ফাঁড়িতে নৌকাসহ নিয়ে আসে।

টুকেরবাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিন চোরাকারবারিকে চিনিসহ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও চিনি জব্দ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ভারতের বাজারের চিনির দাম কম থাকায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে শত শত বস্তা চিনি চোরাচালান করে আসছে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসব চক্রের সদস্যরা সড়ক ও নৌপথে রাতে ও দিনে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ভারতীয় চিনি বাংলাদেশের বস্তায় ভরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করে। ভারতের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৩৫ থেকে ৪০ রুপি। বাংলাদেশের বাজারে এই চিনি বিক্রি হয় ১১০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।