জাল ভোটের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করলেন জাতীয় পার্টির আরেক প্রার্থী

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী নির্বাচনে কারচুপি ও ভোটকেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সিলেট-২ আসনের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভোটে কোনও পেশিশক্তি কিংবা কারচুপির হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনারের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে আমরা নির্বাচনে আসি। প্রত্যেকটি কেন্দ্র নৌকার লোকজন আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে জাল ভোট দিচ্ছে। পুলিশের কাছে এসব বিষয় জানতে চাইলে পুলিশ বলে লিখিত অভিযোগ দেন। তাহলে পুলিশের কাজ কী? পুলিশসহ প্রিসাইডিং অফিসার নীরব। এই পরিবেশ পরিস্থিতিতে আমি মনে করি নির্বাচনের মাঠে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। যার জন্য আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), বিশ্বনাথ পৌর মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান (ট্রাক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির (ডাব) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন (আম)।

জানা গেছে, বিশ্বনাথ আর ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসন। এই দুই উপজেলায় রয়েছে ১৬টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে বিশ্বনাথে আটটি ওয়ার্ড ও ওসমানীনগরে রয়েছে আরও আটটি ইউনিয়ন। এই আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৮টি। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলায় স্থায়ী ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭৪টি ও ওসমানীনগরে রয়েছে ৫৩টি। ওসমানীনগরে রয়েছে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র আরও একটি।

একইসঙ্গে ভোট কক্ষ রয়েছে ৭৭৩টি। এর মধ্যে বিশ্বনাথে ৩৯২টি ও ওসমানীনগরে ৩৫২টি স্থায়ী ভোটকেন্দ্র রয়েছে। বিশ্বনাথে আরও ২৯টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ আসনে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৪৪ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৬ হাজার ১৪৭ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৮২ জন।  বিশ্বনাথে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ১৪৯ জন ও ওসমানীনগরে এক লাখ ৬০ হাজার ৫৮০ জন।