জালিয়াতির মাধ্যমে ভবন অনুমোদন, প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে তদন্তে

দীর্ঘদিন ধরে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) একটি চক্র জালিয়াতির মাধ্যমে ভবন অনুমোদনের নামে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা। সিসিকে ভবন নির্মাণে অনুমোদন নিতে আসা গ্রাহকদের ফুসলিয়ে ভুয়া ব্যাংক চালান, জাল সিল-স্বাক্ষর ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল।

গত জানুয়ারি মাসে দুটি ভবন অনুমোদনের বিষয়টি সিসিকের প্রকৌশল বিভাগের নজরে আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু হয়। এরপর ১৫টি ভবনের ভুয়া অনুমোদনের প্রমাণ পায় সিসিকের প্রকৌশল বিভাগ।

এদিকে জালিয়াতির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সিসিকের সহকারী প্রকৌশলী রওসুনা আরা সিদ্দিকা নূপুর, মোহতাসিম আহমদ তানভীর ও প্রকৌশল শাখার অফিস সহকারী (ড্রিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট) জাহিদ আল হাসানকে তদন্তের স্বার্থে করপোরেশনের সকল প্রকারের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে।

মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। যারা জালিয়াতি করে ভবন অনুমোদন দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। এজন্য সিসিকের তদন্ত কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।’

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, চক্রটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ব্যাংক চালান, স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নকশা অনুমোদন করেছে। সিটি করপোরেশনে ভবনের নকশা অনুমোদনের কোনও আবেদনই করেননি না গ্রাহকেরা।

তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে দুটি ফাইল যাচাইয়ের জন্য সিসিকের প্রকৌশল শাখায় আসে। দেখা যায় ওই দুই বিল্ডিংয়ের নকশার অনুমোদন সিটি করপোরেশন দেয়নি। এখন পর্যন্ত ১৫টি ভুয়া অনুমোদনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। চক্রটির সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।