মাদারীপুরে ১৪ লাখ টাকা দিয়েও চাকরি না হওয়ায় পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন এক যুবক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও জেলা পুলিশ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকার রবি দাশের ছেলে রতন দাশের কাছ থেকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেন তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল। এই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, রতন দাশ একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়। এ সময় বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা নিজের স্বাক্ষরযুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করেন। এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন রতন দাশ। উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।
এ ব্যাপারে রতন দাশ বলেন, ‘আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ সদস্য। কিন্তু তিনি চাকরি দিতে পারেননি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করেছে। টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করেন। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে তিনি আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশ সদস্যও জড়িত।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান ফকির বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের (তানজিলা ও শহিদুল) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।