‘স্যান্ডবক্স: ফিউচার ইজ নাও’

লিট ফেস্টের সমাপনী দিনে (৮ জানুয়ারি) সকালেন ‘স্যান্ডবক্স: ফিউচার ইজ নাও' শিরোনামের সেশনে সৈয়দ মফিজ কামালের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ডমিনিক জিগলার, আমেরিকান লেখক এবং চিকিৎসক রেসা লিউইস, থিংক লিগাল-এর প্রতিষ্ঠাতা অণিতা গাজি, মাইটি বাইটপর এক্সুকিউটিব ডিরেক্টর নওশের রহমান। পুরো সেশনেজুড়ে অতিথিরা নগর, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে কথা বলেন এবং উপস্থিত শ্রোতাদের মতামত নিয়ে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন।

সেশনের শুরুতে সেন্ট্রালইজেশন ও ডিসেন্ট্রালাইজশনের নিয়ে সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তরে ডমিনিক জিগলার বলেন, ‘সেন্ট্রালাইজেশন এবং ডিসেন্ট্রালাইজেশন উভয়েই এমন পন্থা যা নিয়মকে অতিক্রম করে। ডিসেন্ট্রালাইজেশন সহজ এবং ভালো আমি এমনটা বিশ্বাস করি না। সংবিধানের মাধ্যমেই এটার সমাধান খুঁজতে হবে।’

অনিতা গাজী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন ১৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। অর্থাৎ অনেক অনেক তথ্য, যা খুবই ভালো। কিন্তু এটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ডিজিটালাইজেশনের সাথে ঝুঁকির সম্ভবনার ভারসাম্য তৈরি করতে হবে সরকারকে। তথ্যব্যবস্থাকে ভারসম্যের মধ্যে রাখতে হবে। ২টা অধিকারের ভারসাম্য তৈরি করতে হবে, আমার এবং তোমার অধিকার।’

রেসা লিউইস তার গবেষণার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘কথা একটা সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু বিদ্বেষপূর্ণ কথা সংস্কৃতিকে বিদ্বেষপূর্ণ করে তোলে। এটা খুবই ভয়াবহ। বিদ্বেষপূর্ণ কথার কোনও ওষুধ নেই, মানুষের নিজের সচেতনতা জরুরি। এটার জন্য শিক্ষা সবচেয়ে বড় সমাধান।’ সর্বশেষ ঢাকার ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে দর্শকদের মন্তব্য চান নওশের রহমান। এসময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘সিটি কর্পোরেশন যখন ট্রাফিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, তখন ট্রাফিক সমস্যার জন্য আলাদা বোর্ড দরকার। যারা এটা নিয়ে কাজ করবে।