প্রসঙ্গত গত বুধবার সরকারি গার্হস্থ্য কলেজের ছাত্রীরা রাজধানীর আজিমপুরের ক্যাম্পাসে আন্দোলন করে। দেশে তিনটি বেসরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ রয়েছে। ময়মনসিংহে একটি ও ঢাকায় দুটি শাখা রয়েছে। ঢাকার দুটি ক্যাম্পাস গ্রীন রোড ও লালমাটিয়ায় অবস্থিত।
সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থী সূচিতা বলেন, ‘কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বেতন ফি নির্ধারণসহ সকল ক্ষেত্রেই বৈষম্য এবং অস্পষ্টতা দৃশ্যমান। ঢাবির নাম ব্যবহার করে ছাত্রীদের ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে দেখা যায় একমাত্র আজিমপুর শাখার ক্ষেত্রেই সেই সুবিধা বিদ্যমান।’
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ভর্তির ফরম পূরণ, ফলাফল প্রকাশ, সনদপত্র প্রদান সবকিছুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভর্তির কিছুদিন পরেই বোঝায় যায়, আসলে ঢাবির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সরাসরি কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আমরা সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
এসময় তারা তিনটি দাবি করেন:
অবিলম্বে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সকল শাখাকে একীভূত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালরে একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটের মর্যাদা প্রদান করা হোক।
সকল শাখায় অবিলম্বে সহ-শিক্ষা কার্যক্রম অনুমোদন নিশ্চিত করা হোক।
মিথ্যা আশ্বাস কিংবা কোনও অস্পষ্ট প্রতারণা নয়, সকল শাখায় সমন্বিত ভর্তি ও বেতন ফি নির্ধারণ করা হোক।
/আরএআর/এনএস/