দুই ভাগ হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়





শিক্ষা মন্ত্রণালয়শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে ভাগ করেছে সরকার। বিভাগ দু’টি হলো, (১) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, (২) কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর রুল-৩-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে এই মন্ত্রণালয়ের অধীন দু’টি বিভাগ গঠন করেছেন।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে প্রশাসনে কাজের গতি বাড়াতে শিক্ষাসহ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০টি বিভাগ করার অনুশাসন দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিন বিভাগ করার অনুশাসন দেওয়া হয়। ওই অনুশাসনে উচ্চশিক্ষা বিভাগ (বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাস্টার্স, অনার্স ও ডিগ্রি কলেজ), মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ (প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ের পর হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (সব ধরনের কারিগরি, ভোকেশনাল ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) করার কথা বলা হয়েছিল।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরুনা বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)সহ নয়টি সংস্থা নিয়েই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। উদাহরণ তুলে ধরে তিনি আরও বলেছিলেন,  ‘মাউশিকে যদি ভাগ করতে চাই, তাহলে মাধ্যমিকে ফেলব, না উচ্চ শিক্ষায়? তাছাড়া দু’টি প্রতিষ্ঠান একটি ক্যাডারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার পর কয়টি বিভাগ করা যাবে, তা বলা সম্ভব হবে।’

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বুধবার (৩০ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দু’টি বিভাগ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ইংরেজি নাম হবে ‘Secondary and Higher Education Division’ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের নাম হবে ‘Technical and Madrasah Education Division’.

এসআই/এসএমএ/এমএনএইচ/