ইবিতে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেওয়া মতিয়ার এখন ঢাবির শিক্ষক

পিস্তল হাতে মতিয়ার রহমান (ফাইল ছবি: সংগৃহীত)ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিবুল ইসলাম সজিবের কাছে পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়া মতিয়ার রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পরিসংখ্যান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে তার অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া সংক্রান্ত কোনও তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না বলে জানান ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান এম এ জলিল। তিনি  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি আগে থেকে এই বিষয়ে কিছু জানতাম না।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই মতিয়ার রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

মতিয়ার রহমান ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা। পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকের কাছে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিবুল ইসলাম সজিবের কাছে পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ওই সময় অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেওয়া ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবিতে দেখা যায়, মতিয়ার রহমান পিস্তল হাতে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ওই ছবি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ওই ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা সজিবকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়ের প্রক্টর মাহবুবকেও অব্যহতি দেওয়া হয়।

অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেওয়া মতিয়ার রহমানকে নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাবির উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিলেকশন বোর্ড নির্বাচিত করলে সিন্ডিকেটের কিছু করার থাকে না। আর সিলেকশন বোর্ডের কাছে হয়তো তথ্য ছিল না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
এই বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান এম এ জলিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি আগে থেকে কিছুই জানতাম না। সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি। সাত/আট মাস আগে মতিয়ার রহমান নিয়োগ পেয়েছেন। এতদিন তার বিষয়ে কথা ওঠেনি। কাল অফিসে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে  বিস্তারিত জানাতে পারব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া মতিয়ার রহমানকে বুধবার দিবাগত রাত ৮টা ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত  মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া এসএমএস পাঠিয়েও তার কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।

এসএমএ/এমএনএইচ/