রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মদিন এবং শিশু দিবস উদযাপিত

রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে স্কুলে স্কুলে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোচনা, ছবি আঁকা, রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, নাচ ও গান করে দিবসটি উদযাপন করে শিক্ষার্থীরা। গত ১৪ মার্চ সরকারি এক আদেশের প্রেক্ষিতে রাজধানীর সব স্কুলে এ দিনটি উদযাপন করা হয়।

জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানউইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে চিত্রাঙ্কণ ও রচনা প্রতিযোগিতা, জন্মদিনের কেক কাটা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির উপর আলাকচিত্র প্রদর্শন, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়াজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ‘ব্যক্তি মুজিবুরের জন্ম না হলে বাংলাদশের অভ্যুদ্বয় সম্ভব হতো না। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার হিজল গ্রামের এক সাধারণ যুবক দেশের মানুষের স্বাধিকার আন্দোলনের জন্য নিজের জীবনকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন।’

তিনি অভিভাবকদর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের সন্তানদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবেন এবং ভবিষ্যত ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদশ গড়ার লক্ষ্যে এখন থেকে অনুপ্রাণিত করবেন।’ অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি মুহাম্মদ আরিফুর রহমান টিটু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন।

জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অন্যরামোহাম্মদপুর মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ওপর আলোচনা, চিত্রাঙ্কণ ও রচনা প্রতিযোগিতা, নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদপুর থানা শিক্ষা অফিসার রাজু আহমেদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ওপর আলোচনা, চিত্রাঙ্কণ ও রচনা প্রতিযোগিতা, নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুলের গর্ভনিং বডি, সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।’

জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে মোহাম্মদপুর মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানঅন্যদিকে, রাজধানী অগ্রণী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউজ্জামান ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকাল থেকে স্কুলে আমরা এ আয়োজনটি করেছি। শেষ হয়েছে দুপুরে। আমাদের এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ মাহফিল এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।’

অন্যদিকে, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ সব স্কুলে এ দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।