ঈদের পর বেসরকারি শিক্ষকদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের সংবাদ সম্মেলনবেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। এ সময় আগামী ৪ মে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা, ১১ মে ঢাকায় প্রতিনিধি সমাবেশ এবং রমজান মাসে জেলা ও বিভাগে প্রতিনিধি সমাবেশের ঘোষণা দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের নেতারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আমরা গত ১০ জানুয়ারি থেকে টানা ১০ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান এবং অনশন কর্মসূচি পালন করি আমরা। এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবদের সঙ্গে একাধিকবার আমাদের আলোচনা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মহিউদ্দিনের মাধ্যমে ২৯ জানুয়ারি শিক্ষকদের অনশন ভাঙিয়ে বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
শিক্ষক নেতারা বলেন, আশ্বাস দেওয়ার পর পহেলা বৈশাখ চলে এলেও ভাতা দেওয়ার কোনও কার্যক্রম আমরা দেখছি না। এমনকি ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিষয়েও সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত কোনও পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। ফলে বাংলাদেশের সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারের দূরত্ব বেড়েই চলছে। এ পরিস্থিত নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি।
বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের নেতারা আরও বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আসন্ন বাজেটে ৫ শতাংশ বৈশাখী ভাতা ও প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তা না করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে ছাড়বো।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৪ মে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হবে, এর এক সপ্তাহ পরই ১১ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের প্রতিনিধি সমাবেশ। এ ছাড়া, রমজান মাসে জেলা ও বিভাগে প্রতিনিধি সমাবেশ এবং ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের মহাসচিব মো. আবদুল খালেক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাশার হাওলাদার, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম মন্টু, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের মহাসচিব মো. আ. সালাম খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন-
আন্দোলন স্থগিত, শেখ হাসিনা ‘মাদার অব এডুকেশন’